NotesWhat is notes.io?

Notes brand slogan

Notes - notes.io

গঠন বৈচিত্রের ওপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইটকে সাধারণত দুইভাবে ভাগ করা যায়। যথা-

১।স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট
২।ডাইনামিক ওয়েবসাইট
যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য সাধারণত পরিবর্তন হয় না তাদেরকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলা হয়। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের সকল ভিজিটর একই তথ্য দেখতে পায়।
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য সমূহঃ

১। ওয়েবসাইটের পেইজ এর সংখ্যা নির্দিস্ট থাকে।
২। কোন ডেটাবেজ থাকে না ।
৩। কেবলমাত্র সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে একমুখী কমিউনিকেশন হয়।
৪। হাফ-ডুপ্লেক্স মোডে ডেটা ট্রান্সফার হয়।
৫। কোনও প্রোগ্রামিং ভাষার প্রয়োজন হয় না।
৬। স্ট্যাটিক ওয়েবপেইজের এক্সটেনশন .html বা .htm হয়।
৭। কোন ব্যাক-এন্ড থাকে না শুধু ফ্রন্ট-এন্ড থাকে।

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের সুবিধাঃ
১। ওয়েবসাইট ডেভলোপ করা সহজ। ফলে খরচ কম।
২। খুব দ্রুত লোড হয়।
৩। সহজেই ওয়েবপেইজের লে-আউট পরিবর্তন করা যায়।
৪। ডেটাবেজ না থাকায় অধিক নিরাপদ।

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের অসুবিধাঃ
১। ওয়েবসাইটে তথ্য যুক্ত, আপডেট এবং ডিলিট করার জন্য কোড পরিবর্তন করতে হয়।
২। ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে না।
৩। ওয়েবসাইটের তথ্য বেশি হলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়।
৪। ওয়েবসাইটে কোন ফাংশনালিটি থাকে না।

ডাইনামিক ওয়েবসাইটঃ
যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য সাধারণত পরিবর্তনশীল তাদেরকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলা হয়। ডাইনামিক ওয়েবসাইটের তথ্য, ভিজিটর, সময়, টাইম জোন, ভিজিটরের মাতৃভাষা এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হয়।

ডাইনামিক ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
১। ওয়েবসাইটের পেইজ এর সংখ্যা নির্দিস্ট থাকে না।
২। ডেটাবেজ থাকে।
৩। ফলে কুয়েরি করে যেকোন তথ্য বের করা যায়।
৪। সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে এবং ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে উভয়মুখী কমিউনিকেশন হয়।
৫। ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে ডেটা ট্রান্সফার হয়।
৬। ডাইনামিক ওয়েবপেইজের এক্সটেনশন .php বা .asp বা .jsp হয়।
৭। ব্যাক-এন্ড এবং ফ্রন্ট-এন্ড উভয়ই থাকে।
৮। প্রোগ্রামিং ভাষার প্রয়োজন হয়।

ডাইনামিক ওয়েবসাইটের সুবিধাঃ
১। ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় কোড পরিবর্তন না করেই খুব সহজে তথ্য যুক্ত, আপডেট এবং ডিলিট করা যায়।
২। নির্দিস্ট ব্যবহারকারীর জন্য নির্ধারিত ওয়েবপেইজ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যায়। অর্থাৎ ব্যবহারকারীর প্রোফাইল তৈরি করা যায়।
৩। অনেক বেশি তথ্যবহুল হতে পারে।
৪। ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
৫। ওয়েবসাইটে যেকোন ফাংশনালিটি যুক্ত করা যায়।

ডাইনামিক ওয়েবসাইটের অসুবিধাঃ
১। ডেটাবেজ ব্যবহৃত হয়, ফলে লোড হতে বেশি সময় নেয়।
২। ওয়েবসাইট ডেভলোপ করা কঠিন। ফলে খরচ বেশি।

H.W: স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট ও ডাইনামিক ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য ।

আইপি অ্যাড্রেস (IP address):
IP অ্যাড্রেস এর পূর্নরুপ Internet Protocol অ্যাড্রেস। IP অ্যাড্রেস হলো লজিক্যাল সংখ্যাসূচক অ্যাড্রেস যা টিসিপি/আইপি(TCP/IP)-ভিত্তিক নেটওয়ার্কের প্রতিটি কম্পিউটার, প্রিন্টার, সুইচ, রাউটার বা অন্য যেকোনও ডিভাইসে অ্যাসাইন বা আরোপিত করা হয়।

আইপি অ্যাড্রেসের সংখ্যাগুলো দুই ভাগে বিভক্ত:
১।নেটওয়ার্ক অংশঃ এটি নির্দিষ্ট করে যে এই ঠিকানাটি কোন নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত
২।হোস্ট অংশঃ এটি আরও সঠিক অবস্থানটি নির্দেশ করে

আইপি অ্যাড্রেস দুই প্রকারঃ
1.IPV4
2.IPV6
IPV4:

IPV4 হলো Internet Protocol Version-4 ।
বর্তমানে IPV4 বহুল ব্যবহৃত আইপি অ্যাড্রেস।
IPV4 এ প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য মোট চারটি অংশ বা অকটেট থাকে এবং প্রতি অংশে ৮ বিট অর্থাৎ মোট ৩২ বিট প্রয়োজন।
প্রতিটি অকটেট ডট (.) দ্বারা পৃথক করা হয়।
IPV4 এর অ্যাড্রেস সাধারণত Decimal ফরম্যাটে লেখা হয়।
প্রতিটি অংশের ডেসিমেল সংখ্যাটি ০ থেকে ২৫৫ এর মধ্যে কোন একটি সংখ্যা হয়।
যেমন: 216.27.61.137
IPV4 এ মোট ২৩২ বা 4,294,967,296 সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস পাওয়া যায়।
এটি বৃহৎ সংখ্যার মতো মনে হলেও বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটে সংযুক্ত সমস্ত ডিভাইসগুলো কভার করার জন্য এটি আর যথেষ্ট নয়।
অতএব, অনেক ডিভাইস এখন IPV6 ব্যবহার করে।

IPV6:

IPV6 হলো Internet Protocol Version-6।
IPV6 এ প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য মোট আটটি অংশ থাকে এবং প্রতি অংশে ১৬ বিট অর্থাৎ মোট ১২৮ বিট প্রয়োজন।
প্রতিটি ভাগ ডট (:) দ্বারা পৃথক করা হয়।
IPV6 এর অ্যাড্রেস সাধারণত Hexadecimal ফরম্যাটে লেখা হয়।
যেমন: 2001:cdba:0000:0000:0000:0000:3257:9652. এক্ষেত্রে শূন্যগুলো বাদ দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ 2001:cdba::3257:9652 লেখা যেতে পারে।
IPV6 দ্বারা মোট ২১২৮ বা 3.4 x 1038or 340 undecillion সংখ্যক অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস তৈরি করা সম্ভব।

ওয়েব অ্যাড্রেস বা URL:
প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি সুনির্দিষ্ট ও অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস বা ঠিকানা রয়েছে যার সাহায্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থেকে ওয়েব ব্রাউজারের সাহায্যে যেকোন জায়গা থেকে ঐ ওয়েবসাইটের পেইজগুলো ব্রাউজ করা যায়; সেই ঠিকানাকে ওয়েব অ্যাড্রেস বলে। ওয়েব অ্যাড্রেস URL নামেও পরিচিত। URL অর্থ Universal /Uniform Resource Locator । একটি ওয়েব অ্যাড্রেস বা URL এর কয়েকটি অংশ থাকে।

Protocol:

প্রোটোকল হল কতগুলো নিয়মের সমষ্টি । উপরের URL এ http একটি প্রোটোকল যা HTML ডকুমেন্ট এক্সেস করা বা ওয়েব সার্ভার ও ক্লায়েন্টের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে। কিছু প্রোটোকলের উদাহরণ-

HTTP – Hyper Text Transfer Protocol
HTTPS- Hyper Text Transfer Protocol Secure
FTP – File Transfer Protocol
IP – Internet Protocol
TCP- Transmission Control Protocol
ডোমেইন নেইম :
ডোমেইন নেইম হচ্ছে একটি স্বতন্ত্র টেক্সট অ্যাড্রেস যা কোন ওয়েব সার্ভারের আইপি অ্যাড্রেসকে প্রতিনিধিত্ব করে। উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক, www.facebook.com এর পরিবর্তে 31.13.78.35 এই আইপি অ্যাড্রেস এর মাধ্যমেও facebook এর ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যায়। অর্থাৎ www.facebook.com ডোমেইন নেইমটি, আইপি অ্যাড্রেস 31.13.78.35 কে প্রতিনিধিত্ব করছে। মানুষ আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার না করে ডোমেইন নেইম ব্যবহার করে। কারণ আইপি অ্যাড্রেস সংখ্যাবাচক তাই মনে রাখা কষ্টকর কিন্তু ডোমেইন নেইম টেক্সট অ্যাড্রেস তাই মনে রাখা সহজ। এক্ষেত্রে DNS সার্ভার বা Domain Name System সার্ভার এর মাধ্যমে আইপি অ্যাড্রেসকে ডোমেইন নেইমে রূপান্তর করে।

ডোমেইন নেইম ব্যবহার করার আগে অবশ্যই নিবন্ধ করতে হবে। প্রতিটি ডোমেইন নেইম অদ্বিতীয়। কোনও দুটি ওয়েবসাইটে একই ডোমেইন নেইম থাকতে পারে না।
Internet Corporation for Assigned Names and Numbers(ICANN) একটি আমেরিকান অলাভজনক সংস্থা যা সারা বিশ্বের ডোমেইন নেইম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

প্রতিটি ডোমেইন নেইম এর দুটি প্রধান অংশ ও একটি ঐচ্ছিক অংশ থাকে। যথা-

সেকেন্ড-লেভেল ডোমেইন(SLD)
টপ-লেভেল ডোমেইন(TLD)
থার্ড-লেভেল ডোমেইন বা সাব-ডোমেইন (ঐচ্ছিক)

সেকেন্ড-লেভেল ডোমেইনঃ সেকেন্ড-লেভেল ডোমেইন সাধারণত প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। সেকেন্ড-লেভেল ডোমেইনকে অনেক সময় ডোমেইনও বলা হয়। ডোমেইন নামকরনের ক্ষেত্রে কোন স্পেস ও স্পেশাল ক্যারেক্টার(@, &, %, $, # etc.) ব্যবহার করা যায় না। শুধু বর্ণ ও সংখ্যা ব্যবহার করা যায়। ডোমেইনে ব্যবহৃত বর্ণগুলো কেস সেনসিটিভ নয়।

টপ-লেভেল ডোমেইন(TLD): TLD দ্বারা প্রতিষ্ঠানের ধরণ এবং প্রতিষ্ঠানটি কোন দেশের তা বুঝা যায়। TLD এর দুইটি অংশ। যথা-

জেনেরিক ডোমেইন
কান্ট্রি ডোমেইন
জেনেরিক ডোমেইনঃ জেনেরিক ডোমেইন যা প্রতিষ্ঠানটির ধরণ নির্দেশ করে ।
কান্ট্রি ডোমেইনঃ ওয়েব অ্যাড্রেস এর একেবারে শেষের অংশ যা প্রতিষ্ঠানটি কোন দেশের তা নির্দেশ করে। কান্ট্রি ডোমেইন সকল ওয়েবসাইটের জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয়। যেমন- www.edupoint.com.bd । এই ওয়েব অ্যাড্রেস এর একে বারে শেষে bd লেখা আছে। অর্থাৎ এই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের নির্দেশ করে।

সাব-ডোমেইন (থার্ড-লেভেল ডোমেইন): সাব-ডোমেইন মূল ডোমেইনের অংশ যাকে থার্ড-লেভেল বা তৃতীয় স্তরের ডোমেইনও বলা হয়। একটি ডোমেইন এর সাব-ডোমেইন থাকতেও পারে নাও পারে। একটি ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন সেকশনে ভাগ করতে সাব-ডোমেইন ব্যবহৃত হয়। যেমন- www.google.com একটি ডোমেইন যার সাব-ডোমেইন হল maps.google.com, mail.google.com ইত্যাদি। অর্থাৎ google এর maps সেকশনটি আলাদা করতে maps.google.com সাব-ডোমেইন ব্যবহৃত হয় এবং google এর mailসেকশনটি আলাদা করতে mail.google.com সাব-ডোমেইন ব্যবহৃত হয়।

Directory: সার্ভার কম্পিউটারের একটি ফোল্ডার যেখানে ওয়েব পেইজগুলো অবস্থান করে। যেমন- উপরের URL এর ict হলো directory ।
ফাইল নেইম: ওয়েব পেইজের বা ফাইল নেইম। যেমন – উপরের URL এর robotics.html হলো ওয়েব পেইজের বা ফাইল নেইম।
DNS সার্ভার:
DNS সার্ভার এর পূর্নরুপ Domain Name System সার্ভার। আমরা যখন ব্রাউজারে কোন ওয়েব অ্যাড্রেস লিখে রিকুয়েস্ট করি, তখন ব্রাউজার প্রথমে ঐ ওয়েব অ্যাড্রেসের জন্য IP অ্যাড্রেস চেয়ে DNS সার্ভারে রিকুয়েস্ট পাঠায়। DNS সার্ভারে সকল ওয়েব অ্যাড্রেসের বিপরিতে IP অ্যাড্রেসগুলো সংরক্ষিত থাকে। তাই DNS সার্ভার ওয়েব অ্যাড্রেসের বিপরিতে IP অ্যাড্রেস ব্রাউজারকে রিটার্ন করে। তারপর ব্রাউজার ঐ IP অ্যাড্রেসের ওয়েব সার্ভারে ওয়েবসাইটের জন্য রিকুয়েস্ট পাঠায় এবং ওয়েবসাইটটি প্রদর্শিত হয়।


ওয়েবসাইটের কাঠামোঃ
ওয়েবসাইটের কাঠামো বলতে বুঝায় ওয়েবসাইটের পেইজগুলো কিভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকবে। যেমনঃ হোম পেইজের সাথে সাব-পেইজগুলো আবার সাব-পেইজগুলো নিজেদের মধ্যে কিভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকবে ইত্যাদি।

ওয়েবসাইটে একাধিক ওয়েবপেইজ থাকলে পেইজগুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। ওয়েবপেইজগুলো তাদের সংযোগের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন নামের হয়ে থাকে। একটি ওয়েবসাইটে সাধারণত তিন ধরণের ওয়েবপেইজ থাকে। যেমন- হোম পেইজ, মূল ধারার পেইজ এবং উপধারার পেইজ।

হোম পেইজঃ কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে প্রথম যে পেইজটি প্রদর্শিত হয় তাকে হোম পেইজ বলে। হোম পেইজে সাধারণত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য, লক্ষ ও উদ্দেশ্য ইত্যাদি উপস্থাপন করা হয় এবং মূল ধারার পেইজগুলো মেনুবারে সংযুক্ত করা হয়। হোম পেইজের এই মেনুবারকে মেইন সেকশন বা ‘site index’ বলা হয়।

মূল ধারার পেইজঃ মূল ধারার পেইজগুলোতে সাধারণত একটি নির্দিস্ট বিভাগের তথ্য থাকে এবং পেইজগুলো হোম পেইজের মেনুবারে সংযুক্ত থাকে। যেমন- একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের হোম পেইজের মেনুবারে বিভিন্ন বিভাগের পেইজগুলো সংযুক্ত থাকে। প্রতিটি বিভাগের জন্য পেইজগুলোকে মূল ধারার পেইজ বলা হয়।

উপধারার পেইজঃ উপধারার পেইজগুলোতে একটি নির্দিস্ট বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকে এবং পেইজগুলো মূল ধারার পেইজের সাথে সংযুক্ত থাকে। যেমন- একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের হোম পেইজের মেনুবারে বিভিন্ন বিভাগের পেইজগুলো সংযুক্ত থাকে। প্রতিটি বিভাগের জন্য পেইজগুলোকে মূল ধারার পেইজ বলা যায়। আবার প্রতিটি বিভাগের জন্য ভর্তি তথ্য, সিলেবাস, নোটিশ ইত্যাদির বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের জন্য পেইজ থাকে। এই পেইজগুলোকে উপধারার পেইজ বলা হয়।

ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য অনুসারে ওয়েবসাইটের কাঠামোকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

১। লিনিয়ার/ সিকুয়েন্সিয়াল কাঠামো

২। ট্রি/হায়ারার্কিক্যাল কাঠামো

৩। নেটওয়ার্ক/ ওয়েব লিঙ্কড কাঠামো

৪। হাইব্রিড/ কম্বিনেশনাল কাঠামো



লিনিয়ার/ সিকুয়েন্সিয়াল কাঠামোঃ

যখন কোন ওয়েবসাইটের পেইজগুলো একটি নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে তখন ঐ ওয়েবসাইটের কাঠামোকে লিনিয়ার/ সিকুয়েন্স কাঠামো বলে। কোন একটি পেইজের পর কোন পেইজে যাওয়া যাবে তা ওয়েবপেইজের ডিজাইনার ঠিক করে থাকে। পেইজগুলোতে Next, Previous, first ও last ইত্যাদি লিংকের মাধ্যমে Visitor প্রতিটি পেইজ দেখতে পারে।

বই, ম্যাগাজিন এবং অন্যান্য সমস্ত মুদ্রণের বিষয়গুলো যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পড়ার ব্যবস্থা করা হয় তখন এই ধরণের কাঠামো ব্যবহৃত হয়।

প্রশিক্ষণ বা শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটগুলোর জন্য লিনিয়ার কাঠামো সর্বাধিক উপযুক্ত, উদাহরণস্বরূপ, যেখানে ব্যবহারকারী একটি নির্দিষ্ট অগ্রগতি প্রত্যাশা করে। যেমন- একজন শিক্ষার্থী বেসিক কোর্সে যদি পাস করে তাহলে মিড-লেবেল কোর্স করতে পারবে এবং যদি মিড-লেবেল কোর্সে পাস করে তাহলে অ্যাডভান্সড কোর্স করতে পারবে। এই ধরণের সিস্টেমের ক্ষেত্রে লিনিয়ার কাঠামো সর্বাধিক উপযুক্ত।







ট্রি/হায়ারার্কিক্যাল কাঠামোঃ

ওয়েবসাইট কাঠামোগুলোর মধ্যে ট্রি কাঠামো সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয়। এই কাঠামোতে একটি হোম পেইজ থাকে এবং অন্যান্য পেইজ গুলো হোম পেইজের সাথে যুক্ত থাকে, এদেরকে সাব-পেইজ বলে। সাব-পেইজ গুলোর সাথে আরও অন্যান্য পেইজ যুক্ত থাকে। কাঠামোটি দেখতে ট্রি এর মত বলে এই কাঠামোকে ট্রি কাঠামো বলে। এই ধরণের কাঠামোতে হোম পেইজে মেনু এবং সাব-মেনু তৈরি করা থাকে।

বেশিরভাগ বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বহু স্তরযুক্ত ওয়েবসাইট কাঠামো গ্রহণ করে। কারণ প্রতিষ্ঠানের বিপুল তথ্যসমূহ প্রধান সেকশন এবং সাব-সেকশনে ভাগ করে উপস্থাপন করে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটও এই কাঠামোর হয়ে থাকে।

এটি কর্পোরেট এবং প্রাতিষ্ঠানিক জীবনে খুব পরিচিত, তাই বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরা এই কাঠামোটি সহজেই বুঝে।







নেটওয়ার্ক/ ওয়েব লিঙ্কড কাঠামোঃ

এই কাঠামোতে প্রতিটি ওয়েবপেইজ অপর সবগুলো বা সর্বাধিক ওয়েবপেইজের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। অর্থাৎ একটি হোম পেইজের সাথে যেমন অন্যান্য পেইজের যুক্ত থাকে, তেমন প্রতিটি পেইজ আবার তাদের নিজেদের সাথেও যুক্ত থাকে। এই কাঠামোতে ফ্রেম ব্যবহার করা হয় যাতে ফ্রেমের মধ্যে অন্যান্য পেইজের লিংক মেনু আকারে উপস্থাপন করা যায়। এই ফ্রেমটি সাধারণত স্থির থাকে এবং কোন একটি লিংক সিলেক্ট করলে ঐ পেইজটি বড় ফ্রেমের মধ্যে দেখায়।

এই কাঠামোটি ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে কম ব্যবহৃত কাঠামো। কারণ এটি ব্যবহারকারীর পক্ষে বুঝা এবং ভবিষ্যদ্বাণী করা অনেক কঠিন। এই কাঠামোটি ছোট ওয়েবসাইটের জন্য খুবই ভালো যেখানে অনেক লিংকের লিস্ট থাকে। এটি উচ্চ শিক্ষিত বা অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত।







কম্বিনেশনাল/ হাইব্রিড কাঠামোঃ

যখন একটি ওয়েবসাইটের ওয়েবপেইজগুলো একাধিক ভিন্ন কাঠামো দ্বারা একে-অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে, তখন ঐ ওয়েবসাইটের কাঠামোকে কম্বিনেশনাল বা হাইব্রিড কাঠামো বলে। অধিকাংশ ওয়েবসাইটের কাঠামো হাইব্রিড হয়ে থাকে।

উদাহরণস্বরূপ- কিছু ওয়েবপেইজ ক্রমান্বয়ে যুক্ত এবং কিছু ওয়েবপেইজ স্তর স্তরে যুক্ত।
     
 
what is notes.io
 

Notes.io is a web-based application for taking notes. You can take your notes and share with others people. If you like taking long notes, notes.io is designed for you. To date, over 8,000,000,000 notes created and continuing...

With notes.io;

  • * You can take a note from anywhere and any device with internet connection.
  • * You can share the notes in social platforms (YouTube, Facebook, Twitter, instagram etc.).
  • * You can quickly share your contents without website, blog and e-mail.
  • * You don't need to create any Account to share a note. As you wish you can use quick, easy and best shortened notes with sms, websites, e-mail, or messaging services (WhatsApp, iMessage, Telegram, Signal).
  • * Notes.io has fabulous infrastructure design for a short link and allows you to share the note as an easy and understandable link.

Fast: Notes.io is built for speed and performance. You can take a notes quickly and browse your archive.

Easy: Notes.io doesn’t require installation. Just write and share note!

Short: Notes.io’s url just 8 character. You’ll get shorten link of your note when you want to share. (Ex: notes.io/q )

Free: Notes.io works for 12 years and has been free since the day it was started.


You immediately create your first note and start sharing with the ones you wish. If you want to contact us, you can use the following communication channels;


Email: [email protected]

Twitter: http://twitter.com/notesio

Instagram: http://instagram.com/notes.io

Facebook: http://facebook.com/notesio



Regards;
Notes.io Team

     
 
Shortened Note Link
 
 
Looding Image
 
     
 
Long File
 
 

For written notes was greater than 18KB Unable to shorten.

To be smaller than 18KB, please organize your notes, or sign in.