NotesWhat is notes.io?

Notes brand slogan

Notes - notes.io

রাফির পাঁচ থেকে দশ হাত
সামনে একটা আড্ডা চলছে। প্রতিদিনের
আড্ডা এতটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও
আজকের আড্ডা গুরুত্বপূর্ণ তা সবার
চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আজ আড্ডায়
নতুন এক অতিথির আগমন। নাম
প্রিয়াংকা, কালই ক্লাসে জয়েন করেছে।
আর প্রথম দিনেই সবাই ক্রেস
খেয়েছে শুধুমাত্র রাফি ছাড়া। আর
আজকের আড্ডায় সবার মূল বিষয়বস্তু
হলো প্রিয়াংকাকে ইমপ্রেস করা। সবাই
যখন নিজের স্মার্টনেস দেখাতে ব্যস্ত
রাফি তখন নিজের ফেচবুকিং এ ব্যস্ত।
ফেচবুক এ
হালকা পাতলা লেখালেখি করে রাফি কিন্তু
আইডিটা ফেক। নিজের ঢোল
নিজে পিটানোর মত লোক রাফি নয়।
তাও তার গল্প পেজে পেজে ঘুরে। অনেকেই
আগ্রহ দেখিয়েছে তার লেখালেখি নিয়ে।
যেমন সেদিন ও একলোক ম্যাসেজ
করলো তাদের ম্যাগাজিন এর জন্য
একটি গল্প লেখতে। কিন্তু রাফি কারও
জন্য লেখে না এমন কি নিজের জন্যও না।
এইটাই শুধুমাত্র তার টাইম পাস। হোম
পেজে একবার ক্লিক করে নোটিফিকেশন
চেক করে নিল রাফি, ১০ টি নোটিফিকেশন
আর রিকুয়েস্ট এর কথা বলে কাজ নাই
প্রায় ৮০ টা। এত রিকুয়েস্ট সে একচেপ্ট
করেও পারে না। হঠাৎ
রাফি চমকে উঠলো তার
পাসে থেকে একটা মিষ্টি কন্ঠ
ভেসে আসায়, "বাহ আপনার
তো দেখতেছি ব্যাপক জনপ্রিয়তা "।

রাফি একটু লজ্জা পেয়ে গেল আর
তারাতারি একাউন্ট লগ আউট করে দিল।
সে চায়না কেউ জেনে যাক তার একাউন্ট
এর কথা।
:- না মানে, রিকুয়েস্ট গুলা একচেপ্ট করার
সময় পাই না তো
: ও আচ্ছা। এতগুলো ম্যাসেজ পড়ে ছিল
দেখেন নাই কেন?
:- চ্যাটিং করতে ভালো লাগেনা
: তাহলে ফেচবুক এ কি করেন আজব তো
:- না মানে,,, আমার এখন কাজ
আছে আমি যাই
:দাঁড়ান। আমাকে দেখে এভাবে লগ আউট
করে দিলেন কেন?
:- এর উত্তর দিতে আমি বাধ্য নই!
আমি যাচ্ছি আমার কাজ আছে

মেয়েটির মনে রহস্যের দানা বাঁধতে শুরু
করলো।শুধু প্রিয়াংকার ক্ষেত্রে না সব
মেয়েই এই জিনিস টা বেশি করে রহস্য
খুঁজে । রহস্যের গন্ধ দেখলেই
ঝাপিয়ে পড়ে। প্রিয়াংকা মেয়েটার প্রচুর
রাগ হচ্ছে সবাই তাকে এত কেয়ার
করতেছে অথচ একমাত্র এই ছেলেটাই
পাত্তা দিচ্ছে না। তাই বলে এই মেয়ে হাল
ছাড়ছে না রহস্য এর গন্ধ যখন পাওয়া গেল
সত্য উন্মোচন করতে হবে।

আর অইদিকে রাফি বেচারা পড়েছে এক
বিপদে কোন কাজ না থাকলেও
মেয়েটি থেকে বাঁচতে কৃত্রিম কাজের
বাহানা দেখিয়ে হাঁটতেছে ফুটপাত দিয়ে।
অনেক্ষণ ধরে পীপ পীপ হর্নের আওয়াজ
শুনে যাচ্ছে রাফি। ড্রাইভার গুলো কেমন
যেন ছাগল টাইপের আকাজেই হর্ন
বাঁজাতে থাকে এইটা কি তাদের গাম্ভীর্য
এর বহিপ্রকাশ। এই
কথাগুলো ভাবতেছে রাফি ভেবে কি লাভ
কে শুনে কার কথা। হর্নের আওয়াজ যেন
ক্রমশ বেড়েই চলেছে কি দেশরে ভাই।
এবার একটু পিছনে ফিরতে হল কারণ কেউ
একজন ডাক দিল তাকে তবে কন্ঠটা খুব
একটা অচেনা মনে হল না।
কারবার সেরেছে যার জন্য
কাঁঠফাটা রোদের ভীতরে হাঁটতেছে সেই
ব্যক্তি এখন আবার পিছু নিয়েছে।
:-ডাকতেছেন কেন?
:বা রে ডাকা যাবেনা। এতবার হর্ন দিলাম
তাকালেন না কেন?
:- কি আজব হর্নের ভীতরে কি আমার
নাম ধরে ডাকা হয়েছে নাকি?
:আপনি আমাকে এভাবে অবহেলা করতেছেন
কেন? আর আপনার না কাজ আছে? এইটাই
কি সেই কাজ
:- আমি কাউকে অবহেলা করতেছি না।
আর হাঁটা কি কাজ না?
: আপনি কোথায় যাবেন আমার
গাড়িতে উঠুন নামিয়ে দিব
:- লাগবেনা।
: আপনি যদি কিছু মনে না করেন আপনার
সাথে হাঁটতে পারি? (ড্রাইভার
তুমি চলে যাও)
:- আপনি হাঁটলে হাঁটতে পারেন
আমি কি মানা করেছি নাকি
: আপনার জি এফ আছে?
:- হুম আছে।
:আমার সাথে একবার দেখা করাবেন?
(মুখে কিছুটা কস্টের ছাপ)
:-আগে তো খুঁজে নিতে হবে
:তার মানে?
:- এত বুঝাই বলতে পারবো না

আপনার ড্রাইভার আবার এলো কেন?
আপনার পিছনে। মেয়েটি পিছনে তাঁকাতেই
হাজার মানুষের ভীতরে হারিয়ে গেল রাফি।
আর প্রিয়াংকা অবাক হল এই
ছেলেটা আবারো ভেগে গেছে। খুব রাগ
হচ্ছে ছেলেটার উপর। আমি যদি ওর
জি এফ হোতাম তাহলে একদম ঠিক
কতে ফেলতাম?কথাগুলোই
ভাবতেছে প্রিয়াংকা। কোন এক অদ্ভুত
কারণে এখনো তার নামই জানা হয় নি। ও
এমন কেন, যেন কি ভাব দেখায়
রাফির মনেও খটকা কম লাগেনি মেয়েটার
সাথে এভাবে করা উচিৎ হয় নি। ওর
তো কোন দোষ নেই। বড়লোকের
মেয়েদের সাথে রাফি মিশতে চায় না কারন
রাফি বাস্তববাদী। এরা শুধুই বাপের
ক্ষমতা দেখায়।
প্রিয়াংকাকে সরি বলার জন্য এগিয়ে গেল
রাফি।
অতি নিচুস্বরে তাকে সরি বলে আবার
হাঁটা দিল সে। আর পিছনে ফিরে তাঁকায়
নি। চলে এলো সোঁজা মেসে। আজ নতুন
এক গল্প নিয়ে বসলো সে। এই কয়েকদিনের
কাহিনী এর ভীতরে কিছু আদা হলুদ
মিশিয়ে রসালো করে গল্পটা লেখতেছে রাফি।
ইচ্ছে গল্পটা যেন সবার মন কেড়ে নেয়।
কিন্ত গল্পের আগে গল্পের রাজকন্যার
জন্য চাই একটা ভাল নাম। আর
ভাবতে ভাবতে পেয়ে গেল সে। রুপাঞ্জল
একটি কার্টুন এর নাম। এই বয়সেও কার্টুন
এর পাগল রাফি। টম এন্ড
জেরী পেলে তো উঠতেই চায় না। একবার
প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে কার্টুন
নিয়ে কি লজ্জার ঘটনা না ঘটলো।
অবশেষে গল্পটি পোস্ট করেই লগ আউট
করে দিল রাফি।

পা বাড়ালো ইউনিভার্সিটি এর দিকে।
তবে এখন আর
প্রিয়াংকা কে সে অবহেলা না করলেও
বড়লোক দের প্রতি যে ঘৃণা কাজ
করতো তা করেনা। মেয়েটা কিন্তু তেমন
খারাপ না। এইযে প্রিয়াংকারা যে বড়লোক
তার একটুও বুঝা যায় না। খুব
সাদাসিধে চলে ইদানিং। রাফির ও এই
জাতীয় মেয়ে ই পছন্দ। খুব সাদাসিধে হবে।
সেদিনের সেই আড্ডার জটলা আজও
দেখা যাচ্ছে। রাফি ও ফিরে এল তার
আগের জায়গায়। রাফি তার ফেচবুক এ লগ
ইন করলো। ততক্ষণে প্রিয়াংকার চোখের
লেন্সে রাফি ধরা পড়েছে।
তাদেরকে কি বলে যেন এবার রাফির
দিলে এগিয়ে এলো।

:- কেমন আছেন?
:হুম ভাল।
:-আমি কেমন আছি জিজ্ঞেস করবেন না?
:সরি কেমন আছেন?
:-থাক এখন আর বলার দরকার নেই।
দুইটি রিকুয়েস্ট করবো রাখবেন?
:বলেই দেখেন
:-আমাকে তুমি করে ডাকবেন
:আচ্ছা
:- আর আমাকে প্রিয়াংকা নাম
ধরে ডাকবেন না রুপাঞ্জল বলে ডাকবেন

এবার রাফির ভ্রু কুচকে গেল কিছুটা রহস্য
ও পেল। মেয়েটি কি তার আসল রুপ
চিনে ফেলেছে। ভ্রু কুচকে বলে দিল

:পারবো না। এইটা কারও নাম
হতে পারে না
:- কেন পারবেন না। গল্পে তো ঠিকই এই
নাম দিয়েছেন
আর কথা না বাড়িয়ে রাফি ওখান
থেকে চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো।
পিছনে থেকে এগিয়ে এলো প্রিয়াংকা।
যেতে দিব না আপনাকে। আমি চাই
আপনার গল্পের নায়িকা হতে?

তা কখনো সম্ভব না। আপনি হলেন
আকাশের চাঁদ আর আমি চিলোকোঠায়
থাকা এক মধ্যবিত্ত বালক। নিজের
টিউশুনি বন্ধ করে দিলে আমার পড়ালেখাও
শেষ। আর এই জীবনে কিভাবে ঠাই দেব
আপনাকে? মুখ গোমরা করে বললো রাফি
কেন গল্প লেখবেন। লেখক হবেন। লেখক
দের তো কত দাম নিজেই জানেন।
কিছুটা রাগের মাথায় বললো প্রিয়াংকা।

আমি যাচ্ছি আমার কাজ আছে। আর
কথা দিচ্ছি কখনো যদি বড়
হতে পারি তবে তোমাকেই আমার
রূপাঞ্জল বানাবো। আবার
পা বাড়ালো রাফি

এবার রাফির
হাতটি চেপে ধরে বললো আমি আপনাকে ভালোবাসি।
আর আমি চাই আপনিও তাই করেন। আর
আপনি আমার তীব্র জেদের কথা জানেন
না। বাবার কাছে সবই বলেছি আমি।
বাবা খুবই ভয় পায় আমায়।
জানে হাল্কা জেদেই আমি যেকোন কিছুই
ঘটাতে পারি

এবার হাল্কা ভয় কাজ করে রাফির
ভিতরে। সত্যিই কি মেয়েটি এমন।
আর হা শুনুন বাবার সাথে দেখা করার
জন্য বাবা বলেছেন আপনাকে। এই
কার্ডটা রাখুন। বাবা একটি প্রকাশনি এর
সাথে কথা বলেছে। পারলে একটা গল্প
নিয়ে যাবেন। কথা গুলো খুবই নিচু
স্বরে বললো প্রিয়াংকা।
চলে যাচ্ছে প্রিয়াংকা

পিছন থেকে এবার প্রিয়াংকার
হাতটা আলতো করে ধরলো রাফি। আর
বলতে লাগলো যাকে ভালবাসো তাকে ফেলে যাচ্ছো রূপাঞ্জল..

মেয়েটা উল্টো ঘুরে কিছু
একটা করে বসলো যা আর বলতে পারলাম
না কি করলো,,,,,,
তবে এবার দুই জনই হাসছে একজন
চোখে পানি নিয়ে আরেকজন
জমানো আবেগ নিয়ে।

তবে এরপর আর
পিছনে ফিরে তাঁকাতে হয়নি কারণ
ততদিনে রাফি দেশের সেরা লেখকের স্থান
নিয়ে নিয়েছে।
আজ রাফি সার্থক কারণ তার রূপাঞ্জল
তার সাথেই আছে।

[হাল্কা একটু সুযোগ এর অপেক্ষায়
আছে এরকম হাজারো রাফি। অনেকের
অনেক প্রতিভা থাকে যাকে হাল্কা লালন
করলেই অনেক বেড়ে উঠে]
     
 
what is notes.io
 

Notes.io is a web-based application for taking notes. You can take your notes and share with others people. If you like taking long notes, notes.io is designed for you. To date, over 8,000,000,000 notes created and continuing...

With notes.io;

  • * You can take a note from anywhere and any device with internet connection.
  • * You can share the notes in social platforms (YouTube, Facebook, Twitter, instagram etc.).
  • * You can quickly share your contents without website, blog and e-mail.
  • * You don't need to create any Account to share a note. As you wish you can use quick, easy and best shortened notes with sms, websites, e-mail, or messaging services (WhatsApp, iMessage, Telegram, Signal).
  • * Notes.io has fabulous infrastructure design for a short link and allows you to share the note as an easy and understandable link.

Fast: Notes.io is built for speed and performance. You can take a notes quickly and browse your archive.

Easy: Notes.io doesn’t require installation. Just write and share note!

Short: Notes.io’s url just 8 character. You’ll get shorten link of your note when you want to share. (Ex: notes.io/q )

Free: Notes.io works for 12 years and has been free since the day it was started.


You immediately create your first note and start sharing with the ones you wish. If you want to contact us, you can use the following communication channels;


Email: [email protected]

Twitter: http://twitter.com/notesio

Instagram: http://instagram.com/notes.io

Facebook: http://facebook.com/notesio



Regards;
Notes.io Team

     
 
Shortened Note Link
 
 
Looding Image
 
     
 
Long File
 
 

For written notes was greater than 18KB Unable to shorten.

To be smaller than 18KB, please organize your notes, or sign in.